কনকণে ঠান্ডা উপেক্ষা করে চলতি বোরো মৌসুমে বাগেরহাটের চিতলমারীর চাষিরা ধান রোপনে ব্যস্তসময় পার করছেন। এ বছর এ উপজেলায় ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকাংশ জমি চাষাবাদের উপযুক্ত করা হয়েছে। কৃষকেরা বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপন করছেন। ধান ও চালের বাজার দর ভাল থাকায় এ বছর ধান চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকেরা আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২১টি ব্লক রয়েছে। ২১টি ব্লকে চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সব জমিতে উফশি, স্থানীয় জাত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ করা হবে। চাষিরা জমিতে চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কাকডাকা ভোরে তারা মাঠে নেমে পড়ছেন। ইতোমধ্যে ১১ হাজার ১১৫ একর জমি রোপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জমি রোপণের কাজ চলছে।
উপজেলার রায়গ্রামের সুধাংশু অধিকারী, পরিমল মৃধা, বাবুরাম মলঙ্গী, শ্রীরামপুরের শেখর ভক্ত, বড়বাড়িয়ার শওকত শেখ, রিপন মোল্লা, হানেফ কাজীসহ অনেকে জানান, বিগত সময় ধান চাষ করে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু এ বছর ধানের বাজার দর ভাল থাকায় ধান চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং উৎপাদিত ধানের নায্যমূল্য পেলে তাঁরা লাভবান হবেন।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিফাত-আল-মারুফ বলেন, ‘শীতকে উপেক্ষা করে এ উপজেলার চাষিরা বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন। বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানসহ তদারকির কাজ করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জিত হবে বলে আমরা আশাবাদি।’
খুলমা গেজেট/ টিএ